সোনাংপেডেং ভ্রমণ-
সোনাংপেডেং (shnongpdeng) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তা হিলস জেলার অন্তর্গত একটি পাহাড়ি অপরুপ গ্রাম। গ্রামটি বাংলাদেশের তামাবিল বর্ডার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার এবং মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সোনাংপেডেং এর সৌন্দর্যের প্রধান আকর্ষন এই গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ, সবুজ জলের পাথুরে নদী “উমংগট”। এই নদীটিই জাফলং সীমান্ত দিয়ে গোয়াইন নদী নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য এই নদীর বাংলাদেশে প্রবেশ মুখেই সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র জাফলং অবস্থিত। সোনাংপেডেং যেতে হলে ভিসায় পোর্ট “বাই রোড ডাউকি” থাকতে হবে। স্বচ্ছ জলের বহমান পাথুরে নদীতে ঝাপাঝাপি অথবা স্নোরকেলিং/ কায়াকিং/বোটিং করতে চান তবে এই ট্যুরটি আপনার জন্য।
সোনাংপেডেং এর দর্শনীয় স্থান
উমংগট নদী
মেঘালয় রাজ্যের ডাউকির অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম হচ্ছে এই সোনাংপেডেং। গ্রামে পৌঁছানোর পরে মনে হবে, এ গ্রামে না এলে পুরো ভ্রমণ টাই অসমাপ্ত থেকে যেত। পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট ছোট ঘর। গ্রামের গা ঘেঁষে প্রবাহিত হয়ে যাওয়া পাথুরে নদী উমংগটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাই। সবুজ আর স্বচ্ছ এই নদীর জল। পানিতে নৌকা চললে দেখে মনে হবে যেন নৌকা হাওয়ায় ভাসছে। আর একটি ব্রিজ রয়েছে এখানে, যার উপর থেকে অনেকদূর পর্যন্ত নদীটি দেখা যায়। তাছাড়া এই নদীতে ফিসিং, স্নোরকেলিং, রাফটিং, বোটিং ইত্যাদি করার সুযোগ রয়েছে। মাত্র ২০০ রুপি দিয়েই নৌকা রিজার্ভ করে ২-৩ ঘণ্টা নদীর উজান থেকে ঘুরে আসা সম্ভব।
ক্রাংসুরি ঝর্ণা
ডাউকি, চেরাপুঞ্জি এবং শিলংয়ে যতগুলি ঝর্ণা রয়েছে, তাদর মধ্যে সব থেকে সুন্দর এবং বৈশিষ্ঠ্যপূর্ণ হল এই ক্রাংসুরি। ঝর্ণাটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথেই তা দর্শনার্থীদের মুগ্ধতা গ্রাস করে নেয়। বিশালাকৃতির স্বচ্ছ নীলচে সবুজ পানির ধারা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। লাইফ জ্যাকেট পরে এই ঝর্ণায় সাঁতার কাটার জন্য রয়েছে বিশেষ সুযোগ।
খাওয়া দাওয়া
সোনাংপেডাং এর কটেজে ভাত+সবজি+চিকেন/মাছ ১০০-১২০ রুপি। সকালের নাস্তা ২পিস পাউরুটি +চা এর জন্য ৩০ রুপি নিবে। এখানে ১৩০ থেকে ১৫০ রুপীতে রাতের খাবার পাওয়া যাবে হোম মেইড। মেন্যু হবে ভাত, মিক্সড ভেজিটেবল, ডাবল ডিমের কারী, ডাল। রাতেরবেলা চাইলে ক্যাম্প ফায়ার, বারবিকিউ করতে পারেন।
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে তামাবিল-ডাউকি পোর্টের ভিসা নিতে হবে। ডাউকি থেকে ট্যাক্সি যোগে সোনাংপেডাং যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
সোনাংপেডাং থাকার জন্য দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। কটেজে থাকলে ভাড়া পড়বে ১০০০-১৫০০ রুপি।আর তাবুতে থাকলে ৭০০ রুপি।এছাড়াও এখানে হোম স্টে রয়েছে।
বি: দ্র : ঘুরতে গিয়ে দয়া করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,চিপস এর প্যাকেট, পানির বোতল এবং অপচনশীল দ্রব্য নির্ধারিত স্হানে ফেলুন।। এই পৃথিবী, আমার, আপনার সুতরাং নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও আমার এবং আপনার হ্যাপি_ট্রাভেলিং
ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ
Comment (0)